Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিবাহ রেজিস্ট্রার

বিয়ে কি?

বাংলাদেশে বিয়ের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন নেই ফলে বিভিন্ন রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নারীদের। তাই বর্তমান বাস্তবতায় প্রত্যেক ধর্মের নিজন্ব পারিবারিক আইন মতে বিবাহ ও বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পাদিত হয়।
মুসলিম আইন মতে বিয়ে হচ্ছে ধর্ম কর্তৃক অনুমোদিত একটি দেওয়ানি চুক্তি।

মুসলিম বিয়ের শর্তগুলোঃ

সাধারণত একটি আইনসম্মত বৈধ বিয়েতে নিন্মলিখিত পাঁচটি শর্ত পালন অপরিহার্য। যথাঃ
১. বর ও কনের উপযুক্ত বয়স (আইন সন্মত ভাবে বরের বয়স ২১ বছর ও কনের বয়স ১৮ বছর)
২. বর ও কনের স্বাধীন সম্মতি
৩. সাক্ষী
৪. দেনমোহর
৫. বিয়ে রেজিষ্ট্রি ইত্যাদি।

বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কি?

বিয়ে সংক্রান্ত গুরত্বপূর্ণ তথ্যাদি সরকারী রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করাই হচ্ছে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন। মুসলিম বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। মুসলিম বিয়ে ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ মতে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কপি হচ্ছে বিয়ের প্রথমপত্র, যা সব বিবাহিত নারীর জন্য অপরিহার্য একটি দালিলিক প্রমাণ।
বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ব্যপারে কিছু বিষয় পক্ষগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে,যথা-
১. বিয়ের মঞ্চেই বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে হয়,
২. বিয়ের মঞ্চে সম্ভব না হলে বিয়ের অনুষ্টানের দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিষ্টি করতে হয়,
৩. কাজীকে বাড়ীতে ডেকে এনে কিংবা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা যায়,
৪. কাবিন নামার সব শর্ত যথাযথ পূরণ করার পর বর-কনে, উকিল সাক্ষী ও অন্য সব ব্যক্তিগণের স্বাক্ষর নিহে হবে।

বিয়ে রেজিষ্টেশন কেন গুরত্বপূর্ণঃ

বিয়ের রেজিষ্টেশন বর-কনে উভয়ের জন্য দরকারি। বাংলাদেশে সামাজিক পরিস্থিতিতে বিবাহিত নারীদের জন্য বিয়ের রেজিষ্টেশন জরুরী। যেসব কারণে বিয়ে রেজিষ্টেশন গুরত্বপূর্ণ, তা হলোঃ
১. কেউ এর সত্যতা অস্বীকার করতে পারে না,
২. এ দলিলের মাধ্যমে স্ত্রী বা স্বামী আবার বিয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে,
৩. ভরণ-পোষণ আদায়ের জন্য এটি একটি প্রমাণপত্র,
৪. দেনমোহর আদায়ের জন্য রেজিষ্টিকৃত নিকাহনামা দরকার,
৫. স্বামী-স্ত্রী দু'জনের মধ্যে একজন মারা গেলে মৃতের সম্পতিতে নিজের অংশের ভাগ পেতে পারে।